পরিপূর্ণ বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে নির্মাতা রাজের ভিআইপি জামাই

আরটিভি’র ঈদ অনুষ্ঠান মালায় প্রচারের পর ১৯ এপ্রিল থেকে RTV Drama ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে রোমান্টিক কমেডি ধাচের নাটক ভিআইপি জামাই। মিজানুর রহমান রচনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন বর্তমান সময়ের তরুণ মেধাবী নির্মাতা রাজ্জাক রাজ।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন হালের জনপ্রিয় মুখ যাহের আলভী, সাদিয়া জাহান প্রভা, আবদুল্লাহ রানা, আঞ্জুমান আরা শিরিন, এসআই শহীদ, ইমরান হোসেন আযান, ইমরান হাসো, আনিকা আফসিন সুমাইয়া, মাসুদ রানা, আঞ্জুমান্দ হাকিম মৌমিতা, সুমন হোসেনসহ আরো অনেকে।

নাটকটির চিত্রগ্রহণ করেছেন মশিউর রহমান, প্রযোজনা করেছেন নাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজক সঞ্জিত সরকার। পুবাইলের গ্রামীণ পটভূমিতে সুন্দর লোকেশনে নির্মাণ করা হয় নাটকটি।

নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক রাজ্জাক রাজ বলেন, দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেওয়ার জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে ভিআইপি জামাই। ভালো সাড়া পাচ্ছি দর্শকদের কাছ থেকে।

কেন্দ্রীয় চরিত্র আলভী-প্রভা সম্পর্কে তিনি বলেন, পূবাইলের মতো জায়গায় তারা সঠিক সময়ে এসে অনেক আন্তরিকতার সাথে অভিনয় করেছেন। অন্যরা নাটকটি নির্মাণের ক্ষেত্রে মন প্রাণ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। সবার প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।

ভিআইপি জামাই নাটকের একটি দৃশ্য

তরুণ নির্মাতা রাজ আরও বলেন, এই নাটকটি মান সম্পন্ন করে নির্মাণের ব্যাপারে আমার উপর আস্থা রাখায় আমি সঞ্জিত সরকারের কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। তিনি আন্তরিকতার সাথে সহযোগীতা করেছেন।

আরটিভি’র দেওয়ান শামসুর রাকিবসহ পুরো টিম নাটক নির্মাণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করায় তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ আমার পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুদের প্রতি।

নাটকজুড়ে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে, যা দেখলে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন। নাটকটি দর্শকদের বিনোদন ও মজার পাশাপাশি কিচ্ছু সুন্দর ম্যাসেজও দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্মাতা রাজ্জাক রাজ।

গল্প সম্পর্কে নির্মাতা রাজ্জাক রাজ বলেন, মোল্লা বাড়ির বড় মেয়ে সামিয়া অনেক ছোট বয়সেই তার মাকে হারিয়ে মানসিক আঘাত পেয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন, তার পাগলামি আরো বেড়ে যায় যখন তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

মানসিক আঘাত ও সৎ মায়ের যন্ত্রণায় সামিয়ার পাগলামি আরো বাড়তে থাকে। সে দিন নাই, রাত নাই কখনো পানিতে দাপিয়ে বেড়ায় আবার কখনো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়, কখনো বা গাছে উঠে বসে থাকে। মেয়ের পাগলামি সারাতে ভাল ডাক্তার না দেখিয়ে গ্রামের লোকের পরামর্শে ওঝা কবিরাজ দেখানো হয়, তাতেও কাজ হয় না।

এবার মেয়েকে মোবাইল ফোনে মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয় দুবাই প্রবাসী সামাদ অর্থাৎ যাহের আলভী’র সাথে। কিন্তু সামাদ জানতো না যে তার বৌ একজন পাগল। কিছু দিন পরে সামাদ দুবাই থেকে ফিরে সরাসরি শ্বশুর বাড়িতে এসে ওঠে বৌকে সাথে নিয়ে বাড়িতে যাবে বলে।

এদিকে সামিয়ার বাবা মোল্লা সাহেব জামাইকে ভোলানোর জন্য ভিআইপি জামাইয়ের মর্যাদা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড পার্টি, বিশাল সাজসজ্জা আর রাজকীয় খানাপিনার আয়োজন করে, যাতে জামাই সামিয়ার পাগলামির দিকে নজর না দেয়।

কিন্তু বৌয়ের উল্টা পাল্টা আচরণে জামাই ঠিকই সন্দেহ করে। এক সময় আসল ঘটনা জেনে ফেলে।

এরপর কি হবে..?

সামাদ কি তার পাগলী বৌ সামিয়াকে মেনে নিয়েই সংসার করবে..?

নাকি, অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেবেন..?

সেটা জানতে হলে অবশ্যই নাটকটি সবাইকে দেখতে হবে।