তিন দেশে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা এমআর-৯

কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’। বইয়ের পাতা থেকে এবার মাসুদ রানা আসছেন রুপালি পর্দায়।

এরই মধ্যে সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড পরিচালক আসিফ আকবর পরিচালিত ছবিটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।

মার্কিন সংবাদপত্র ‘ডেডলাইন ডটকম’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী ২৫ আগস্ট বাংলাদেশসহ কানাডা ও আমেরিকায় একযোগে মুক্তি পাচ্ছে ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর পরিবেশনায় কানাডা ও আমেরিকার ১৫০টি স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। এরই মধ্যে ছবির একটি পোস্টারও প্রকাশ করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটিতে জাজ ছাড়াও বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস।

সিনেমাটি নির্মাতা আসিফের সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল আজিজ ও নাজিম উদ দৌলা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সংগীতশিল্পী রিকি কেজ।

বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ নিয়ে দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প, হলিউডের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা আর দেশ-বিদেশের তারকার সমাহারে নির্মিত এ সিনেমার ঝলক এরইমধ্যে সামনে এসেছে।

বহুল প্রতীক্ষিত এমআর-৯ সিনেমার একটি পোস্টার

আগামী ২৫ আগস্ট বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে এর বাংলাদেশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। সম্প্রতি নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট এর মাধ্যমে মুক্তির তারিখ জানিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা আসিফ আকবর সিনেমাটি নিয়ে বলেছেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট এবং এখান থেকে আমি সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।

আমিসহ অনেকের শৈশবের নায়ককে বড়পর্দায় নিয়ে আসার এই প্রজেক্টে যুক্ত হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ এবং গর্বিত। এই সিনেমাটি আপনাদের (দর্শক) জন্য এবং এটি এখন একটি জাতির জন্য ইতিহাস।’

মাস দুয়েক আগে ‘এমআর-৯’র টিজার প্রকাশ করা হয়। হলিউড ধাঁচে বানানো সেই ঝলকজুড়ে ছিল মারকাট অ্যাকশন আর রহস্যের অস্তিত্ব। তবে গল্প সম্পর্কে তেমন কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি।

পোস্টারে মাসুদ রানার চরিত্রে এবিএম সুমনকে দেখা গেছে এবং শহীদুল আলম সাচ্চু অভিনয় করেছেন। এছাড়া মাইকেল জেই হোয়াইট, সাক্ষী প্রধান, নিকো ফস্টার, ম্যাট পাসমোর, কেলি গ্রেসন, ফ্রাঙ্ক গ্রিলো প্রমুখ হলিউডের অভিনেতারা অভিনয় করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৮৩ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। সেই হিসাবে এটি দেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা প্রজেক্ট। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এটি প্রযোজনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফিল্ম পোস্ট, চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ও আল ব্রাভো ফিল্মস।