খোদ আমেরিকায়ই আইনী চ্যালেঞ্জ’র মুখে ভিসা নীতি

গত ১৭ মে রিপাবলিকান পার্টির ছয় কংগ্রেসম্যান সংখ্যালঘু সংখ্যা কমে যাওয়া ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া অযৌক্তিক ও একতরফাভাবে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নীতি আরোপ করে মার্কিন সরকার।

আমেরিকার এই ধরনের আচমকা সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর চাপ তৈরির পাশাপাশি হেয় প্রতিপন্ন করা হয় বাংলাদেশকে।

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে এবার মামলা হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশি বংশোভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মিশিগান প্রবাসী ড. রাব্বী আলম বাদী হয়ে মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলাটি করতে যাচ্ছেন।

২৩ জুন সামাজিক ও গণমাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন ড. রাব্বী। তার এমন ঘোষণার পর মিশিগানসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল আলোচনার ঝড় বইছে।

ড. রাব্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একনিষ্ট একজন সমর্থক। এছাড়া দেশটির ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য তিনি।

মামলা করার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জো-বাইডেনের কাছে রিপাবলিকান দলীয় ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের দেয়া বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রায় ৪০টি অভিযোগের কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই একতরফাভাবে ভিসা নীতি আরোপ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ, ১৮ কোটি জনগণকে অপমান করেছেন জো-বাইডেন ও তার সরকার, যা ক্রিমিনাল অপরাধ।

ড. রাব্বী আলম

একজন সচেতন নাগরিক হয়ে দায়িত্ববোধ, দেশের সুনাম ও জনগণের স্বার্থেই এ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই মামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশসহ আরোপিত ভিসা নীতি দ্রুত প্রত্যহার চাওয়া হচ্ছে।

মামলায় আপাতত প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এই মামলা দায়েরের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া ৬ কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে জানান ড. রাব্বী।

এর আগে অর্থের বিনিময়ে প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্যের ওপর ভর করে বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান নেয়ায় ৬ কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধে পাল্টা চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ১৯৩ জন মার্কিন নাগরিক।

উল্লেখ্য, ২৫ মে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেট পার্টির ৬ কংগ্রেসম্যানও চিঠি দেয়।