২০২৩ সালে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা ১০ শহর

আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামোসহ নানা বিষয়কে সূচক ধরে ১৭৩টি শহরের তালিকা তৈরি করেছে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

বিশ্বজুড়ে করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর সংস্কৃতি, পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মান আবার উন্নত হতে শুরু করেছে। কারণ, আবার নানা ধরনের ইভেন্টের আয়োজন শুরু হয়েছে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, অনেক শহরে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান গত ১৫ বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিশ্বসেরা বাসযোগ্য দশ শহর:

চলতি বছরের সেরা ১০টি শহরের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে ভিয়েনা। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, শিক্ষা আর অবকাঠোমো খাতে সর্বোচ্চ স্কোর নিয়ে ভিয়েনা এবছরও তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক এর কোপেনহেগেন রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানের রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার দুই শহর মেলবোর্ন ও সিডনি।

তালিকার পাঁচে রয়েছে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহর। ইউরোপের আরেক সমৃদ্ধ দেশ সুইটজারল্যান্ডের জুরিখ রয়েছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। আর সুইটজারল্যান্ডের আরেক শহর জেনেভা ও কানাডার ক্যালগারি শহর যৌথভাবে রয়েছে তালিকার সাতে।

কানাডার রাজধানী শহর টরন্টো রয়েছে তালিকার নবম স্থানে। এছাড়া এশিয়ার দেশ জাপানের ওসাকা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড রয়েছে তালিকার দশ নম্বরে।

ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া

বাসযোগ্যতার সূচকে এক নম্বর স্থান পাওয়া অস্ট্রিয়ার রাজধানীর জন্য মোটেই নতুন কোন খবর নয়। শুধুমাত্র ২০২১ সালে করোনা মহামারিতে এই শহরের যাদুঘর ও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ থাকায় কম সময়ের জন্য ভিয়েনার অবস্থান নীচে নেমে গিয়েছিল।

স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অবকাঠামোতে নিখুঁত স্কোর – সব মিলিয়ে ভিয়েনার আকর্ষণ সবার উপরে রাখতে চান খোদ এখানে বসবাসরতরাই।

ভিয়েনার সংরক্ষিত ঐতিহাসিক নিদর্শন, নির্ভরযোগ্য গণ-পরিবহন ব্যবস্থা, শিশুদের লালন-পালনের সাশ্রয়ী ব্যয়, শহরের ক্যাফে, থিয়েটার এমনকি ওয়াইনারিগুলোর সাথে সহজ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভিয়েনা সারা জীবনের জন্য থাকার মতো একটি জায়গা।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহর

শুধুমাত্র সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস আর নানা ধরনের অনুষ্ঠানের জন্যই ভিয়েনার বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে। ভিয়েনায় শোনব্রুন প্যালেস, হফবার্গ ও ভিয়েনা সিটি হলসহ অনেকগুলো ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে।

শহরটি তার সঙ্গীত ঐতিহ্যের জন্যও সুপরিচিত। মোৎসার্ট, বেঠোভেন ও স্ট্রসের মতো বিখ্যাত সুরকাররা ভিয়েনা শহরে বসবাস ও কাজ করেছেন। তাদের সুরের মূর্ছনা ইউরোপবাসী বিমোহিত হয়।

অসংখ্য জাদুঘর, থিয়েটার ও অপেরা হাউসের মাধ্যমে ভিয়েনার বাসিন্দারা সহজেই এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

এছাড়াও ভিনার স্নিটজল ও জাকার্টর্টের মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার চেখে দেখা এবং তাজা খাবার ও রান্নার স্থানীয় বিশেষত্ব উপভোগ করতে নাশমার্কটের মতো বিভিন্ন মার্কেট প্লেস প্রতিনিয়তই ভিয়েনাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।

কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক:

টানা দ্বিতীয়বারের মতো তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের রাজধানী শহর কোপেনহেগেন। ডেনমার্ক ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর মধ্যেও একটি দেশ।

শিক্ষা, অবকাঠামো ও স্থিতিশীলতার জন্য নিখুঁত দেশ ডেনমার্ক। বসবাসের জন্যও কোপেনগেন শহর ইউরোপের অন্যতম একটি শহর হিসেবে বিবেচিত।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহর

পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন রাস্তা-ঘাট নাগরিকদের জন্য বসবাসের খুবই উপযোগী। কোপেহেগেনের রাস্তায় সাইকেল চলাচল স্বাভাবিক ব্যাপার। গাড়ির পাশাপাশি সাইকেল চলাচল এই শহরকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

মেলবোর্ন ও সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ ও করোনা মহামারির সময় দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন থাকার ফলে মেলবোর্ন এবং সিডনি – দুটি শহরের স্কোর একসময় নীচে নেমে গিয়েছিল।

কিন্তু এখন তারা আবার শীর্ষ ১০-তালিকায় ফিরে এসেছে। শহর দুটির র্যাঙ্কিং যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ।

বিশেষ করে মেলবোর্ন শহর সারা দেশের সংস্কৃতি ও পরিবেশ সূচকে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে। এটি এমন বৈশিষ্ট্য যার জন্য শহরটির বাসিন্দারা খুবই গর্ব করেন।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর

মেলবোর্নে রয়েছে খাবারদাবারের অবিশ্বাস্য সুব্যবস্থা, শিল্পকলা, নানা ধরনের ইভেন্ট ও অ্যাট্রাকশন। সেই সাথে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফর্মুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রি ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মতো আন্তর্জাতিক খেলা। ।

মেলবোর্নে চলাফেরা করা বেশ সহজ, পুরো শহরে রয়েছে ট্রাম চলাচল ব্যবস্থা, যাতে ওঠা-নামা করা খুব সহজ। আর সামান্য একটা পথ গাড়ি চালিয়ে গেলেই রয়েছে মেলবোর্নের বিশ্ববিখ্যাত সমুদ্র সৈকত এবং ওয়াইন প্রস্তুতকারী আঙ্গুরের বাগান।

অত্যাশ্চর্য সৌন্দর্য, সমুদ্র সৈকত ও অনেক আইকনিক বিল্ডিং থাকার কারণে সিডনির মতো শহরগুলো এমনিতেই সুন্দর। মেলবোর্ন শহরে তেমন কোনও ল্যান্ডমার্ক নেই, কিন্তু এটি হচ্ছে সংস্কৃতির শহর; এবং এটা বুঝতে হলে আপনাকে একটু গভীরে যেতে হবে।

মেলবোর্নে জীবনের স্পন্দন আবিষ্কার করতে হলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষায়িত রেস্তোরাঁগুলোতে খাবারের স্বাদ পরখ করে দেখতে হবে। সেখানে গোপন দরজার আড়ালে লুকিয়ে আছে ককটেল বার।

সিডনির তুলনায় মেলবোর্নের লোকেরা অনেক বেশি অতিথি পরায়ণ, যা শহরের জীবনযাত্রার মানকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভ্যাঙ্কুভার, টরন্টো ও ক্যালগরি কানাডা:

ভ্যাঙ্কুভার, ক্যালগারি ও টরন্টোসহ তিনটি কানাডিয়ান শহর এ বছর বাসযোগ্যতার তালিকায় শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নিয়েছে।

উন্নত সংস্কৃতি ও পরিবেশের স্কোরের কারণে ভ্যাঙ্কুভার সর্বোচ্চ পাঁচ নম্বরে স্থান পেয়েছে। এ দুটি এমন বৈশিষ্ট্য যার কারণে ভ্যাঙ্কুভারের প্রতি শহরটির বাসিন্দাদের রয়েছে অনেক ভালবাসা।

কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহর

ভ্যাঙ্কুভার থেকে অরণ্য, সমুদ্র এবং আকাশে যাওয়া খুবই সহজ। সৈকত, পাহাড় ও বনের কাছাকাছি থাকার জন্য ভ্যাঙ্কুভারকে শহরের বাসিন্দাদের খুবই পছন্দ।

শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মিনিটেরও কম দূরত্বের মধ্যে অসংখ্য পার্ক এবং সমুদ্র সৈকত রয়েছে, যা সেখানকার বাসিন্দারা উপভোগ করছেন। সহজ অভিবাসন নীতির সুবাদে নানা দেশের ব্যবসায়ীরাও এখন ভ্যাঙ্কুভারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

একদিকে যেমন ব্যবসায়িক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে অন্যদিকে শহরটি হবে প্রাণবন্ত এবং থাকবে বিদেশিদের গ্রহণ করার মানসিকতা। ব্যবসা করার জন্য ভ্যাঙ্কুভারের লোকেরা খুব ভাল। ব্যবসার প্রতিটি পদক্ষেপে কারও না কারও সাহায্যসহ নানা ধরনের পরিষেবা পাওয়া যায়।

ব্যবসা বাণিজ্যের বাইরে, প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দেয়। কাজে ফাঁকে বিরতির প্রয়োজন হলে একদিকে দেখা যায় সমুদ্র আর রাস্তার ওপারে দেখা যায় পাহাড়।

তালিকার সেরা দশে থাকা কানাডার দুই শহর টরন্টো ও ক্যালগরিতেও নাগরিক সুবিধা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই নয়নাভিরাম। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ভ্যাঙ্কুভারের মতো এগিয়ে আছে এই দুই শহর।

জুরিখ, সুইজারল্যান্ড

তালিকার ছয়ে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর জুরিখ। গত এক বছরে তৃতীয় স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে নেমেছিল। যদিও এটি গ্লোবাল লাইভবিলিটি ইনডেক্সের শীর্ষ ১০-এর অন্তর্ভুক্ত।

সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর জুরিখ

২০২২ সালেল কস্ট অফ লিভিং সার্ভে অনুসারে, জুরিখ প্রবাসী হিসাবে বসবাস ও কাজ করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে একটি। ব্যয়ের দিক দিয়ে হংকংয়ের পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে জুরিখ।

জুরিখের রাস্তা-ঘাটে চলাচল ও নাগরিক সুবিধার দিক দিয়ে উত্তম শহর। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই এই শহরের বাসিন্দারা নিরাপদে চলাচল করতে পারেন।

ওসাকা, জাপান

বাসযোগ্যতার তালিকায় ১০তম অবস্থানে হলেও, শীর্ষ দশে পৌঁছানো এশিয়ার একমাত্র শহর ওসাকা। তবে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সূচকে নিখুঁত ১০০ স্কোর করেছে।

বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক পরিবারের আয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, কিন্তু জীবনযাত্রার নিচু ব্যয় ওসাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বিশাল ইতিবাচক দিক।

জাপান ও বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় ওসাকার বাড়ি ভাড়া তেমন ব্যয় বহুল না। পানি, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটসহ অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ ফিসহ বাড়ি ভাড়া অন্য শহরের তুলনায় কম। অ্যাপার্টমেন্টগুলো ছোট হলেও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

হোটেল রেস্তোরাঁয় সস্তায় খাবারও ওসাকার বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। শহরের বাসিন্দা বাসার বাইরে খেতে গেলে পকেট থেকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে যায় অন্য শহরে।

জাপানের ওসাকা শহর

সেই তুলনায় ওসাকার মানসম্পন্ন রেস্তোরাঁগুলোতে আশ্চর্যজনক বাজেট-বান্ধব দামে খাবার পাওয়া যায়। ওসাকায় প্রায় প্রতিদিনই রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবার খাওয়া যায়।

একই মাপের অন্য শহরগুলোর তুলনায় ওসাকার বাসিন্দা অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করেন। মাঝরাতে পায়ে হেঁটে একা বাড়িতে ফিরতে মোটেও ভয় করে না এখানকার বাসিন্দাদের। চোখের আড়াল হলেও ব্যাগ কিংবা পার্স চুরি যাওয়া নিয়ে কখনই কোন রকম দুশ্চিন্তা হয় না ওসাকায়।

ওসাকার গণ-পরিবহন ব্যবস্থা বেশ নির্ভরযোগ্য। শহর ও আশেপাশের এলাকায় রয়েছে রেল যোগাযোগের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। শহর থেকে দিনে দিনে বাইরে যাওয়া সহজ এবং কিয়োটো, নারা ও কোবের মতো শহরগুলো ঘুরে দেখা যায়।

অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড

জাপানের ওসাকার সাথে তালিকায় যৌথভাবে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর। গত বছর থেকে শহরটি ২৫টিরও বেশি ধাপ পেরিয়েছে।

শিক্ষা খাতে নিখুঁত স্কোরের পাশাপাশি, অন্যান্য শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে সংস্কৃতি ও পরিবেশের ক্ষেত্রে অকল্যান্ড সর্বোচ্চ স্কোর করেছে। শহরটির বাসিন্দারাও এই শহরে বেশ সহজ জীবন যাপন করেন।

অকল্যান্ডে যারা থাকেন তাদের বেশিরভাগই মাত্র ২০ মিনিট গাড়ি চালিয়ে একটি সুন্দর নির্জন সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায় অনায়াসেই।

নাগরিকদের দোরগোড়ায় রয়েছে একটি অত্যাশ্চর্য জলজ বিশ্ব। এটি উপভোগ করার জন্য রয়েছে অনেক সুব্যবস্থা। একইভাবে শহরটির চারপাশে রয়েছে দেশীয় গাছের জঙ্গল, যেখানে হারিয়ে গেলে মনেই থাকে না যে কোনও শহরে আছে।

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহর

নিউজিল্যান্ডের বৃহত্তম শহর হিসাবে অকল্যান্ডের বাসিন্দারা অনেক বিশ্বমানের ইভেন্ট উপভোগ করেন। এর মধ্যে রয়েছে চলমান ২০২৩ ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফুটবল। সেরা সব কনসার্ট, শো ও খেলাধুলার ইভেন্ট দোরগোড়ায় দেখতে পান নাগরিকরা।

অকল্যান্ডে রয়েছে বিখ্যাত বন্দরের সৌন্দর্য। যেখানে নোঙ্গর করে রয়েছে বহু ইয়ট এবং পালের নৌকা। এজন্য অকল্যান্ডকে “দ্য সিটি অফ সেইলস” নামে ডাকা হয়। এছাড়া অকল্যান্ডকে বাসযোগ্য করে তুলেছে মানুষের বন্ধুত্ব।

অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় একটি দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড সারা বিশ্ব থেকে আসা খাবারের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। তাই রেস্তোরাঁ ও সুপার মার্কেটগুলোতে রয়েছে অনেক ধরনের অফার।

অধিকাংশ কিউইরা দয়ালু মানুষ, তারা অন্যকে সাহায্য করতে চান এবং কারও সাথে পথে দেখা হলে তারা হাসিমুখে হ্যালো বলেন। তাদের দিলখোলা হাসি সবাইকে মুগ্ধ করে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, ইউরো নিউজইকোনমিক ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট