মনোযোগ বাড়ার খাবার

শিশুদের মনোযোগ বাড়ায় যে ৫ খাবার

সন্তানকে সবার থেকে এগিয়ে দিতে চাইলে তার মনের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হওয়া এবং উত্তর খোঁজার মনোযোগ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। অর্থাৎ বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়-এ নজর দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার সমূহ যেন প্রতিনিকার খাবার তালিকায় স্থান পায়। তবেই সব বাধাকে উপেক্ষা করে জীবনে অনন্য হয়ে উঠবে আপনার সন্তান।

পৃথিবীর সব সফল মানুষের মনোযোগ ক্ষমতা বা স্মৃতিশক্তি সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি। তাই তাঁরা সব বাধা টপকে সাফল্যের শিখরে আরোহরণ করতে পেরেছেন। 

সন্তানের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কি?

এর উত্তর, আপনার সন্তান যেন প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমাতে পারে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সহায়ক খাবার তার প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

শিশুদের মনোযোগ বা স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর এমনই ৫ খাবার নিয়ে এই নিবন্ধ। সন্তানের খাবারে এসব রাখলে দ্রুত উপকার মিলবে।

শিশুদের মনোযোগ বাড়ায় ডিম:

স্বল্প টাকায় ডিমের মতো পুষ্টিকর একটি খাবার খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর কাজ। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, জিয়াজ্যানথিন, প্রোটিন, উপকারী ফ্যাটসহ একাধিক উপাদান।

ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার

এসব উপাদান শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, শিশুদের হাড়, পেশি ও চোখের খেয়াল রাখতে চাইলেও তার ডায়েটে ডিম রাখুন। তাতেই দ্রুত উপকার মিলবে।

শিশুদের ব্রেনের জন্য উপকারী ডাল:

সব ডালে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ ভাণ্ডার। এসব উপাদান শিশুদের ব্রেনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমন কী ডালের গুণে শিশুদের ব্লাড সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সুস্থতার সহায়ক ডালতাই ছোটদের ডায়েটে যত দ্রুত সম্ভব ডালকে জায়গা করে দিন। এই কাজটা করলে তাঁর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা তো বাড়ার পাশাপাশি শরীরের গঠন সুঠাম হবে।

আরো পড়ুন: দিনে কতগুলো খেজুর খাওয়া ভালো

ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার চিয়া সিডস:

চিয়া বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার, যা চোখ, হার্ট ও ব্রেনের শক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকরি ভূমিকা রাখে। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে শিশুদের মনোযোগ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।


শিশুকে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে দিতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব এই বীজ তার ডায়েটে যোগ করে দিন। এটি যেকোনো বয়সী লোকেরাই খেতে পারেন।

মস্তিষ্ক থেকে টক্সিন দূর করে বেরি ফল: ​

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরিসহ অন্যান্য বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব উপাদান মস্তিষ্ক থেকে টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম। এমনকী এসব ফলে থাকা কিছু উপাদান দুশ্চিন্তার ফাঁদ এড়িয়ে চলার কাজেও সহায়ক।

বেরি মানেই উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

শিশুদের ডায়েটে এই ধরনের ফলকে যত দ্রুত সম্ভব জায়গা করে দিন। প্রতিদিন বেরি ফল খাওয়ালেই বাড়বে শিশুর মনোযোগ ক্ষমতা।

সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে ওটস:

পৃথিবীর সব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এই দানা শস্যের প্রশংসা করে থাকেন। ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, জিঙ্ক থেকে শুরু করে একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান। এসব উপাদান শিশুর ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়ায়।

এছাড়াও এই খাবার শিশুদের শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই শিশুদের সার্বিক স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ওটস রাখুন।

এগুলো ছাড়াও দেশীয় ও সিজনাল ফলমূল রোজ খাবারের প্লেটে রাখতে হবে। মাটি ও আবহাওয়া অনুযায়ী প্রকৃতি মানুষের প্রয়োজনীয় শাখ-সবজি ও ফলমূল সরবরাহ করে থাকে। এসবের সর্বোচ্চ ব্যবহার অঞ্চলভিত্তিক মানুষকে শিখতে হবে। তাহলেই আপনার সন্তান সুস্থ-সবল থাকবে ।

তথ্যসূত্র: এই সময়