গিনেস বুকে নাম লেখালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

ফুটবলের জগতে এক অনন্য নাম ক্রিস্টিয়ায়োনা রোনালদো। ৭ নম্বর জার্জি পরেন বলে তার নামের দুই আধ্যক্ষরের সাথে সিআর সেভেন বলা হয়। এবার নতুন করে আলোচনায় আসলেন তিনি।

বিশ্বের প্রথম পুরুষ ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়ার মালিক বনে গেলেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা ফুটবলার।

মাইলফলক ম্যাচটিতে গোল করে রাঙিয়েছেনও সিআর সেভেন। তার একমাত্র গোলেই ইউরো বাছাইয়ের আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পায় ইউরোপের দেশ পর্তুগাল।

চলতি বাছাইয়ে এই নিয়ে চার ম্যাচ খেলে সবগুলো ম্যাচেই বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরব অর্জন করেছেন রবের্তো মার্তিনেসের শিষ্যরা।

২০ জুন রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ শুরুর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন সিআর সেভেন খ্যাত রোনালদো।

১৯৬ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তার সবচেয়ে নিকটে রয়েছেন কুয়েতের বদর আল-মুতাওয়া। ফুটবল প্রেমিদের মধ্যে আলোচনায় এসেছেন এশিয়ার দেশ কুয়েতের এই খেলোয়াড়ও।

ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না পর্তুগিজরা। বিরতির পর ৮০ মিনিটের মাথায় গনসালো ইনাসিওকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার ভিলাম।

পরবর্তীতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিক আইসল্যান্ড। এর ৯ মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যায় পর্তুগাল। ইনাসিওর হেডে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান রোনালদো।

সাথে সাথে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভিএআরে যাচাই শেষে গোলের বাঁশি বাজান ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ ও গোলের রেকর্ড আগে থেকেই রোনালদোর। এবার তার সাথে আরও কৃত্বিত্ব যোগ করলেন সিআর সেভেন।

২০০ ম্যাচে রোনালদোর গোল সংখ্যা ১২৩টি। একই সঙ্গে এবারের বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত জাল অক্ষতই রইল পর্তুগালের। চার ম্যাচে তারা গোল করেছে মোট ১৪টি।

চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে আছে সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। আরেক ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারানো স্লোভাকিয়া ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে।

বসনিয়ার মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে লুক্সেমবুর্গ। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ৯ নম্বরে। আইসল্যান্ডের সমান ৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে বসনিয়া। কোনো পয়েন্ট না পাওয়া লিখটেনস্টাইন আছে ৬ দলের গ্রুপের তলানিতে।

বলে রাখা ভালো, ইউরোপ কাপ ফুটবল শুধু ইউরোপে নয়। গোটা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। প্রতিটি ম্যাচই ঘটা করে উপভোগ করেন ফুটবল অনুরাগীরা।