লাইফ স্টাইল

নিজেকে স্মার্ট করার যত অভ্যাস 

এক রাতের মধ্যে কেউ স্মার্ট হয়ে যান না। সচেতনভাবে প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে স্মার্টনেসকে অভ্যাসে পরিণত করতে হয় বলে মনে করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েল মনোবিজ্ঞানী জর্জ হামফ্রে।

প্রতিদিনই কীভাবে নিজেকে একটু স্মার্ট করে তুলতে পারেন তা নিয়ে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ এই মনোবিশেষজ্ঞ।

এগুলো একটু দেখে নিন-

কমপক্ষে নতুন ১০টি বিষয় প্রতিদিন চিন্তা করে বের করুন। নিজের মস্কিষ্কের কোষগুলোকে এসব চিন্তায় ব্যস্ত রাখুন তাতে মন আনন্দে ভরে থাকবে।

প্রতিদিনই পত্রিকা পড়ুন। পৃথিবীর চারপাশে কোথায় কী ঘটছে তা জানার চেষ্টা করুন। এটা আপনার জ্ঞানের পরিধিকে প্রসারিত করবে।

সম্প্রতি যা শিখেছেন তা নিয়ে চিন্ত-ভাবনা করুন। অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। তবে জ্ঞান পিপাসু ব্যক্তি যিনি আলোচনা করতে আগ্রহী চান, তবে তা মিস করবেন না।

মজার ও অদ্ভুত বিষয়ে তথ্য দেয় এমন ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। বিজ্ঞান, সমাজ, প্রকৃতি বিষয়ের নানান তথ্য জানার আগ্রহ বাড়ায়।

দক্ষতা অর্জনে দুইটি তালিকা করুন। একটি বর্তমান কাজের প্রয়োজনের আর অপরটি ভবিষ্যতে যে সব বিষয়ে শিখতে চান তার জন্য করুন।

যা যা করেছেন তার একটি তালিকা করুন। এতে নিজের জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। আরো শেখার উৎসাহ বাড়তে থাকবে।

যা যা শিখছেন তথ্য আকারে তা লিখে রাখুন। তাতে তথ্যটি মাথায় স্থায়ীভাবে জমা হয়ে থাকবে যাবে। এগুলো যেকোনো ব্লগে বা নোটপ্যাডে লিখে রাখতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিন মেডিটেশন ও ব্যায়াম করুন। এতে যে কোনো কঠিন বিষয়ে মনকে শান্ত ও সবল রাখতে সহজ হবে।

যাকে আপনার ভালো লাগে, যার সাথে মিশতে ভালো লাগে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলুন ও মিশুন। চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানুন তাতে আপনার চিন্তা শক্তিও বেড়ে যাবে।

আপনার চেয়ে স্মার্ট ও বিজ্ঞ মনে হয় এমন মানুষের সঙ্গ লাভের চেষ্টা করুন। তাদের কাছে থেকে নিজের স্মার্টনেসকে ঝালাই করে নিতে পারবেন।

আপনার মনে যে সব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করে নিজেই উত্তর বের করার চেষ্টা করুন। তাতে ভালো ফল পাবেন।

নতুন কোনো এলাকা বা স্থানে ঘুরতে যান। অন্তত আপনার বাসস্থানের আশপাশের কোনো স্থান একটু দেখে আসুন।

দাবা বা এ ধরনের স্মার্ট গেম খেলুন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসব গেম খেলুন। তাতে মেধা বিকাশের পাশাপাশি বাড়বে বুদ্ধি ও চিন্তা শক্তি।

কিছু সময় বাঁচিয়ে বিশ্রাম করুন। এ সময়টিতে কিছুই করবেন না। এতে মানসিক শান্তি ও দৈহিক শক্তি সঞ্চার ঘটবে।

উৎপাদনশীল কোনো শখ গড়ে তুলুন। প্রতিদিন এর পেছনে কাজ করতে পারেন। সেলাই থেকে শুরু করে মাছও ধরতে পারেন।

যা শিখেছেন তা বাস্তবজীবনে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। নতুন যন্ত্র বাজানো বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করার পদ্ধতি বই বা অনলাইনে শিখে থাকলে তা নিজে করে দেখার চেষ্টা করুন।

মনোবিজ্ঞানী জর্জ হামফ্রের পুরো নাম জর্জ উইলিয়াম হামফ্রে। মনোবিজ্ঞানী ছাড়াও তিনি একাধারে ছিলেন লেখক ও দার্শনিকও।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আচরণগত অধ্যয়নে বিশেষ করে অভ্যাসগত মনোবৈজ্ঞানিক বিষয়ে ব্রিটিশ এই মনোবিজ্ঞানীর বেশ খ্যাতি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: