মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে আইসক্রিম। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এক খাবারের নাম আইসক্রিম। আইসক্রিমের জন্মস্থান চীনে। ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো আইসক্রিম তৈরির কৌশলটি চীন থেকে ইউরোপে নিয়ে আসেন।
তৎকালীন সময়ে কুবলাই খানের লোকেরা ঠেলাগাড়ি করে জমাট দুধের খাবার বিক্রি করতো। মার্কো পোলো খাবারটি খেয়ে পছন্দ করেন এবং এর কৌশল শিখে নেন। এই খাবারটির নাম পরে হয় আইসক্রিম।
১৫৩৩ সালে আইসক্রিম ইতালি থেকে প্রথম ফ্রান্সে আসে এবং সেখান থেকে পরে যায় ইংল্যান্ডে। এরপর আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইসক্রিম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯০০ সাল হতে আইসক্রিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
একটা কামড় বদলে দিতে পারে মুড
ছোট-বড় সবারই পছন্দের আইসক্রিম। মন খারাপের মাঝেও আইসক্রিমের একটা কামড় বদলে দিতে পারে মুড। তবে আইসক্রিমের মিষ্টির জন্য যেমন অনেকে এড়িয়ে চলেন, তেমনই ওজন বাড়ার ভয়েও অনেকে আইসক্রিম খেতে চান না। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো অনেকেরই হয়তো জানা নেই আইসক্রিম খেয়েও ওজন না বাড়িয়ে সুস্থ থাকা যায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু পরিমিত খেলে উপকার মিলবে অনেক। আইসক্রিমের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা নিয়েই এই প্রতিবেদন-
শক্তি বাড়ায়: আইসক্রিম তাৎক্ষণিক শক্তি বাড়ায়। আইসক্রিম শরীরে শক্তি, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট দেয়।
প্রোটিনের উৎস : দুগ্ধজাত পণ্য প্রোটিনের দুর্দান্ত উৎস। আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে দুধ ও ক্রিম থাকায় এটি শরীরে অনেকটাই প্রোটিন দেয়।
খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ: আইসক্রিম কেবল প্রোটিন সমৃদ্ধ নয়, এতে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং বি কমপ্লেক্সে রয়েছে। শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা রাখতে এই খনিজগুলোর অত্যন্ত প্রয়োজন।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল : গবেষণায় দেখা গেছে, আইসক্রিম মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে, কারণ দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে,, যা সেরোটোনিন বা হ্যাপি হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মানুষের মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
হাড় মজবুত করে :
হাড় শক্তিশালী রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম। আইসক্রিম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই ডায়েটে এটি অন্তর্ভুক্ত করা গেলে হাড় মজবুত করা যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও আইসক্রিমে জুড়ি মেলা ভার। আইসক্রিম ফারমেন্টেড খাবারের গোত্রে পড়ে, যা শ্বাসযন্ত্র ও গ্যাস্ট্রোইনস্টেনটিনালের জন্য উপকারী।
বলে রাখা ভালো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক আইসক্রিম একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। উপযুক্ত উপাদানের পাস্তুরিত মিশ্রণকে জমাট বাঁধিয়ে আইসক্রিম তৈরি করা হয়। দুগ্ধ চর্বি, দুগ্ধজাত উপাদান ছাড়াও চিনি, ভুট্টার সিরাপ, পানি, সুস্বাদু ও সুগন্ধিকারক বস্তু যেমন চকলেট, ভ্যানিলা, বাদাম, ফলের রস থাকে আইসক্রিমে।