বছর শেষে সবাই একবার পেছনে তাকায়। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা- এর বেলায়ও তা খাটে। বছর শেষে সামনে আসে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে তা প্রকাশ করাটাও সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা জানিয়ে দেন নিজের আনন্দ বেদনার কাব্য।
বছরের প্রিয় বই, সিনেমা ও সংগীতের খবর প্রতি বছর জানান দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০২৩ সাল শেষে বছরজুড়ে উপভোগ করা প্রিয় বই, সিনেমা ও গানের কথা তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে।
বারাক ওবামা’র প্রিয় সিনেমা
২০২৩ সালে বারাক ওবামা এর দেখা প্রিয় সিনেমার তালিকার সবার আগে রয়েছে রাস্টিন, লিভ দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড ও আমেরিকান সিম্ফোনি। তিনটি সিনেমাই রিলিজ হয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হায়ার গ্রাউন্ড থেকে।
হায়ার গ্রাউন্ড বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেদিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি পক্ষপাত থেকে মুক্ত না। ৩টি সিনেমাই বের হয়েছে হায়ার গ্রাউন্ডের প্রযোজনায়। তবে তিনটিই চলতি বছরে আমার দেখা সেরা সিনেমা।’
বারাক ওবামা’র প্রিয় সিনেমার তালিকায় রয়েছে , ‘ওপেনহাইমার’ ‘দ্য হোল্ডওভার্স’, ‘ব্ল্যাকবেরি’, ‘আমেরিকান ফিকশন’, ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’, ‘মনস্টার’, ‘পাস্ট লাইভস’, ‘এয়ার’, ‘পোলাইট সোসাইটি’ ও ‘আ থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান’।
এ তালিকা প্রকাশের আগে বারাক ওবামা মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘দ্য কালার পার্পল’ দেখার কথা জানান। সেখানে তিনি সিনেমাটিকে ২০২৩ সালে দেখা প্রিয় সিনেমা হিসেবে অভিহিত করেন।
ওবামা’র তালিকায় জায়গা পায়নি বার্বি
বারক ওবামা এর দৃষ্টিতে ২০২৩ সালে সেরা সিনেমার তালিকায় জায়গা পাওয়া থ্রিলার সিনেমা ‘ওপেনহেইমার’ অন্যতম হলিউডের সফল সিনেমারও একটি। জে. রবার্ট ওপেনহাইমারের জীবনীর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। জে. রবার্ট ওপেনহাইমার মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, পারমাণবিক বোমার জনক হিসেবে স্বীকৃত তিনি।
ক্রিস্টোফার নোলান রচিত ও পরিচালিত থ্রিলার ধাঁচের সিনেমাটি কাই বার্ড ও মার্টিন জে শেরউইনের ‘আমেরিকান প্রমিথিউস’-এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। ওপেনহাইমারের সঙ্গে একই দিনে মুক্তি পেয়েছিল গ্রেটা গারউইগের কমেডি ফিল্ম ‘বার্বি’।
বক্স অফিসে চলচ্চিত্র দুটি তীব্র লড়াই করে। তবে আয়ের দিক থেকে ‘বার্বি’এগিয়ে থাকে। যদিও ওবামার তালিকায় জায়গা হয়নি বছরের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র মার্গট রবির ‘বার্বি’।
লেখক ও অভিনেতাদের আন্দোলন প্রসঙ্গ
প্রিয় সিনেমার প্রকাশের সাথে বারাক ওবামা স্বীকার করেছেন বছরের শুরুর দিকে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা ও এসএজি-এএফটিআর -এর করা আন্দোলনের কথা।
তার ভাষায়, ‘ওই আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাব আগামী দিনগুলোয় চলচ্চিত্র জগতে পড়বে। লেখক ও অভিনেতারা আন্দোলন করেছেন কর্মক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য। এর মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন আসছে, তা ভবিষ্যতে শিল্পটির সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
ওবামা’র প্রিয় গান
শুধুই কি সিনেমা। বারাক ওবামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের প্রিয় গানেরও একটি তালিকা প্রকাশ করে জানান দেন সঙ্গীতের প্রতি নিজের অনুরাগের কথা।
প্রকাশিত প্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে ক্যারোল জি ও শাকিরার টিকিউজি, মেগান দ্য স্ট্যালিয়নের কোবরা, টাইলার ওয়াটার, বিয়ন্সের আমেরিকা হ্যাজ এ্যা প্রবলেম।
এছাড়াও রয়েছে অ্যালিসন রাসেলের দ্য রিটার্নার, মিতস্কির মাই লাভ মাইন অল মাইন, বার্না বয়ের সিটিং অন টপ অব দ্য ওয়ার্ল্ড, স্টর্মির টক্সিক ট্রেইট, পেসো প্লামার লা বেবে, রিটা উইলসনের ক্রেজি লাভ, লেনি ক্র্যাভিটজের রোড টু ফ্রিডম এবং জন বাতিসতের ইট নেভার ওয়েন্ট এ্যাওয়ে।
তথ্যসূত্র: হলিউড রিপোর্টার, বারাক ওবামা ফাউন্ডেশন, হিন্দুস্তান টাইমস, ইউডিসকভার মিউজিক