দরজায় কড়া নাড়ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জোরশোরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে বিন্দুমাত্র তাকে ছাড় দিবে না ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর এক দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক অ্যান্থনি স্কারামুচি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও প্রচারণা সভায় দেখা যাচ্ছে না তার স্ত্রী মেলানিয়াকে। নির্বাচনের প্রাক্কালে অ্যান্থনি স্কারামুচির এই মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে ট্রাম্প ব্রিগেডকে। গত কয়েকদিনে মেলানিয়াকে শুধুমাত্র দলের তহবিল সংগ্রহের ইভেন্টে দেখা গেছে। পেনসেলভানিয়ার যে সমাবেশে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেখানেও উপস্থিত ছিলেন মেলানিয়া।
একটি পডকাস্টে হোস্ট বেন মেইসেলাসের সঙ্গে আলাপচারিতায় অ্যান্থনি স্কারামুচি দাবি করেন, ‘মেলানিয়া ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসের দায়িত্বে দেখতে অনেক বেশি আগ্রহী। কারণ ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন তিনি।’
স্কারামুচি বলেন, মেলানিয়া তাঁর স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন। তিনি কমলা হ্যারিসের জয় চাইছেন। স্কারামুচির দাবি অনযায়ী, তার স্ত্রীও মেলানিয়ার মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন।’
তবে স্কারামুচির এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, তাঁর সাবেক সহযোগী স্কারামুচি একজন ‘তিক্ত মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি’ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ পুষে রাখেন। হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব পেয়েই নানান বিতর্কে জড়ানোর কারণে তাকে ট্রাম্প বহিস্কার করেন বলেও জানান ট্রাম্প।
বর্তমানে পুত্র ব্যারন ট্রাম্পের লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত মেলানিয়া। বেশিরভাগ সময়টাই তিনি নিউ ইয়র্কে থাকছেন। মেলানিয়া নিউ ইয়র্কের প্রতি বিশেষ প্রীতি প্রকাশ করেছেন এবং পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হতে চলেছেন। কারণ, তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা দাঁড়াননি। দলের বেশ কয়েকজন শক্তিশালী নেতা ইতোমধ্যে কমলাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাইডেন যেমন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের সাফল্যের কথা বলেছেন, তেমনই কমলা হ্যারিসেরও প্রশংসা করেছেন। বাইডেন বলেন, ‘আমি কমলা হ্যারিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি অভিজ্ঞ, দক্ষ ও কড়া ধাঁচের মানুষ।’