আজব সব কফিনে শেষকৃত্য যে দেশে

ঘানার অধিবাসীরা এমন আজব সব কফিন তৈরি করেন যাতে সেই মৃত ব্যক্তির জীবনযাত্রা, তার স্বপ্ন, আবেগ ও সামাজিক মর্যাদা ফুটে ওঠে। রাজধানী আক্রার দুইটি কফিন তৈরির কারখানায় এমন আজব সব কফিন দেখা যায়।

ঘানাবাসী সাধারণ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে থাকে। আর এসব কফিন বানাতে কাঠমিস্ত্রিরা ব্যবহার করেন সাধারণ যন্ত্রপাতি। জীবিত অবস্থায় যিনি যে পেশায় থাকেন তাকে সেই বস্তুর আদলের কফিনে করে শেষকৃত্যে নেওয়া হয়।

গত এক দশক ধরে ২০টির বেশি দেশের অসংখ্যা ক্রেতা ঘানা থেকে এসব ফ্যান্টাসি কফিন বানিয়ে নিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ডেনমার্ক থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঘানায় এই কফিন বানানোর কাজ শিখতেও আসে।

জার্নালস মনিটরের পাঠকদের জন্য রইল ঘানার আজব কফিনের কিছু ছবি

তিমি হাঙর আকৃতির কফিনে নেওয়া হচ্ছে মরদেহ, ছবি : সিএনএন
মার্সেটিজ বেঞ্জ গাড়ির আদলে তৈরি কফিন , ছবি : বিবিসি
সিংহ আকৃতির কফিনে নেতার মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী, ছবি : সিএনএন
চায়ের পাত্রের আদলের কফিনে লাশ বহন করা হচ্ছে, ছবি : সিএনএন
মাছের আদলে তৈরি কফিনে রাখা মৃতদেহ , ছবি : সিএনএন
ট্রেনের আদলে তৈরি কফিনে মরদেহ নেওয়া হচ্ছে, ছবি : সিএনএন
আনারসের আদলে তৈরি কফিনে বহন করা হচ্ছে মরদেহ, ছবি : সিএনএন
গাড়ির আদলে তৈরি কফিনে করে মরদেহ নেওয়া হচ্ছে, ছবি : সিএনএন

এসব কাস্টমাইজ কফিন বানাতে সাধারণত এক হাজার ডলারের মতো খরচ হয়। যার ব্যয় বহন করা কৃষক বা দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারগুলোর জন্য অসম্ভব হয়ে যায়। কেননা ঘানায় একজন কৃষকের দৈনিক আয় মাত্র ৩ ডলার।

সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন