এবার চাঁদের মাটিতে ৪জি পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে নোকিয়া। ইনটুইটিভ মেশিনের একটি মিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো চাঁদে পাঠানো হবে। চাঁদে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই যোগাযোগের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
মহাকাশে যোগাযোগের জন্য মূলত পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট রেডিও প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এতে সীমিত ডেটা আদান-প্রদানের সুযোগ থাকত। তবে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে ২০২৭ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের চাঁদে ফেরত পাঠানো আর ২০৩০ সালে স্থায়ী বসবাসের পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।
নোকিয়া নাসার সহযোগিতায় নেটওয়ার্ক ইন আ বক্স নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। চাঁদের কঠিন আবহাওয়া সহ্য করতে সক্ষম হবে এটি। চাঁদের মাটিতে মূলত ল্যান্ডার ও যানবাহনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক হবে এই টেলিফোন নেটওয়ার্ক। তবে নেটওয়ার্কটি আপাতত মাত্র কয়েক দিনের জন্য সক্রিয় থাকবে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, চাঁদে সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করলে তা টেলিস্কোপিক পর্যবেক্ষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সমস্যা সমাধানে নোকিয়া ইতিমধ্যে বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণের কাজ করছে, যাতে চাঁদের ৪জি নেটওয়ার্ক পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
নাসা ও নোকিয়া ভবিষ্যতে আরও উন্নত ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা মহাকাশচারীদের বসবাসযোগ্য স্টেশন ও এক্সিওম স্যুটের সঙ্গে যোগ করা হবে।
সূত্র: ওয়্যারড, ইকোনমিক টাইমস, টেলিকমস ডটকম ও জি নিউজ