ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের তৈরি মহাকাশযান ‘ড্রাগন’-এ চড়ে নভোচারী শুভাংশু শুক্লা, রেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি ও হাঙ্গেরির টিবর কাপু পাড়ি দিয়েছেন অন্তরীক্ষে। অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনে রয়েছেন তারা।
১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল ইউরি গ্যাগারিন ইতিহাস লিখেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈমানিক ও নভোচারী ছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মানুষ। এরপর ৬৫ বছরে বিভিন্ন দেশ একাধিক মহাকাশ অভিযানে মানুষ পাঠিয়েছে।

এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে যে, মহাকাশেও আসে প্রকৃতির ডাক। কীভাবে সাড়া দেন নভোচারীরা? শৌচকর্মের পর মল-মূত্রের কী হয়? এই প্রতিবেদনে সেসব উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি মহাকাশযানেই থাকে ছোট্ট এক শৌচাগার। আর সেখানেই নভোচারী মল-মূত্র ত্যাগ করেন।
মহাকাশচারী কঠিন বর্জ্য ত্যাগের জন্য একটি ফানেল ও একটি সাকশন সিস্টেমসহ টয়লেট সিট ব্যবহার করেন। সেই বর্জ্য ভ্যাকুয়ামড প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে এক বায়ুরোধী পাত্রে রাখা হয়। এ পাত্রগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এরপর একটি পণ্যবাহী জাহাজে লোড করা হয়।
তারপর পণ্যবাহী জাহাজটি কক্ষপথ থেকে সরে যায় ও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যায়। এভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন হয়। কখনও কখনও বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য কঠিন বর্জ্য পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাও হয়।

এবার আসি মূত্রে। একটি পাইপ ও ফানেল সিস্টেমের মাধ্যমে প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। এরপর এটি ওয়াটার রিকভারি সিস্টেমের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যাতে প্রস্রাবের ৮৫% পর্যন্ত পানি পুনরুদ্ধার করা যায়। আর সেই পানি শুধু পানীয় হিসেবেই কাজে লাগে না। খাবার তৈরি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
স্পেস টয়লেট তৈরিও হয় ভিন্নভাবে। যাতে ব্যবহারকারীর চারপাশে একটি শক্ত সিল থাকে।এর মল ভেসে যায় না। মহাকাশচারীরা গ্লাভস ও ওয়াইপও ব্যবহার করেন, যা বর্জ্য পাত্রে ফেলে দেন। মহাকাশে হাঁটার সময়ে বা অন্যান্য পরিস্থিতিতে যেখানে টয়লেট পাওয়া যায় না, সেখানে অ্যাডাল্ট ডায়াপারের মতো শোষক পোশাক ব্যবহার করেন।
সূত্র : জি নিউজ