আচার-ব্যবহার পরিশ্রম ও সহযোগিতায ও তার সৌজন্যবোধের কথা আগেই সবার জানা। স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক যে কোন ম্যাচে তার আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ সবাই। বলছি বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্তুজার কথা
মাশরাফী মানেই যেন পরশ পাথর। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ট্রফিতে একক আধিপত্য নড়াইল এক্সপ্রেসের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তার দল জেমকন খুলনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরো একটি অর্জন। এ পর্যন্ত ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাশরাফীর ট্রফির সংখ্যা পাঁচ।
ফাইনাল শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ধারাভাষ্যকার এড রেইন্সফোর্ড প্রশ্ন করে বলেন, “আমি জানি তুমি কতটি ফাইনাল জিতেছো, তুমি কি জানো?” মাশরাফির ভাবতে হলো না একটুও, মুচকি হাসিতে বললেন, “আমার মনে হয়, চারটা বিপিএল ফাইনাল আর এবারের এটি। পাঁচটি জিতেছি।”
দেশের সবচেয়ে বড় ফ্রান্সাজিং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলেও সফলতম অধিনায়ক মাশরাফী। ৭ আসরের ৪টিতেই উঁচিয়ে ধরেছেন চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। ২০১২-১৩ বিপিএলে মাশরাফীর নেতৃত্বে শিরোপা জিতে নেয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
এরপর ফিক্সিং কেলেঙ্কারি ও নানা বিতর্কের কারণে বন্ধ থাকা বিপিএল আবার শুরু হয় ২০১৫ সালে। সেবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এনে দেন শিরোপা। ২০১৭ বিপিএলে মাশরাফি চ্যাম্পিয়ন হন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে।
বিপিএলের বাইরে মাশরাফি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি বলতে ২০১০ সালে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি ও ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলে ট্রফির দেখা পাননি।
২০২০ করোনা কাল। হয়নি বিপিএল। কোভিড বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে মাঠে ফেরে ক্রিকেটাররা। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় মাশরাফীর খেলা নিয়ে ছিল সংশয়। টুর্নামেন্টের মাঝে খুলনায় যোগ দেন ম্যাশ। বাকিটা সবার জানা। এবার সরাসরি অধিনায়ক ছিলেন না। তবে দলের অন্যতম অনুপ্রেরণা হয়ে ছিলেন।
দীর্ঘদিন পরে তিনি মাঠে নেমে নিজের জাত চিনিয়েছেন ক্রীড়ামোদীদের। তার এমন নৈপুণ্য খুশি সংশ্লিষ্টরা একইসাথে খুশি ভক্ত অনুরাগীরাও। এভাবে মাশরাফি দীপ্তি ছড়াবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের ।