দেশেে গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ বাড়ার তথ্য সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মশাবাহিত রোগবালাইয়ে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।
মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের কয়েল, স্প্রে, ক্রিম জাতীয় পণ্যের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশার কয়েল স্প্রের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। মশার কয়েল সারারাত ধরে জ্বলে এবং কয়েল জ্বালিয়ে মানুষ ঘরেই অবস্থান করে। কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসের অসুখ হতে পারে।
এছাড়া ক্যান্সার ও কিডনি রোগেরও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সেই সাথে মানুষের চোখ ও হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি হয় বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর হওয়ায় এসব পণ্যের পরিবর্তে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মশা তাড়াতে কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে ঢাকায় মশার সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তাতে এসব প্রাকৃতিক পদ্ধতি কতটা কাজে আসবে সে আশঙ্কাও রয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
মশা তাড়ানোর কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি:
- নিমে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ রয়েছে। প্রাচীনকালে মশা তাড়াতে নিমের তেল ব্যবহার করা হত। ত্বকে নিম তেল লাগিয়ে নিলে মশা ধারে-কাছেও ভিড়বে না বলে প্রচলিত আছে।
- বলা হয়ে থাকে মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কর্পূর দিয়ে রাখলে মশা পালিয়ে যায়।
- লেবু আর লবঙ্গ একসাথে রেখে দিলে ঘরে মশা থাকে না বলে প্রচলিত আছে। এগুলো জানালায় রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না।
- ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে সেটা জ্বালালে চা পাতার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা-মাছি পালিয়ে যাবে। এতে শ্বাসতন্ত্রের কোনো ক্ষতি হবে না।
- সন্ধ্যার সময় নারিকেলের ছোবা বা গাছের কয়লা বা তুষের মধ্যে ধূপ জ্বালিয়ে রাখলে মশা ও জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে বলে প্রচলিত আছে।
এইসব অবলম্বন করার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে মশা নিধন করা সম্ভব বলে প্রচলিত রয়েছে ।তবে বর্তমান সময়ে মশার কামড় থেকে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।