চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে নতুন এ ভাইরাস সারা বিশ্বের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে গত ডিসেম্বরে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে জাপান, থাইল্যান্ড, হংকং, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১২টি দেশে।
করোনা কি ধরনের ভাইরাস?
করোনা ভাইরাস ভাইরাসেরই একটি পরিবারের সদস্য, যা শ্বাসকষ্টসহ, ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের শারিরীক সংক্রমণ ঘটায় ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও অস্থায়ীভাবে নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ‘২০১৯-এনসিওভি’। নতুনটিসহ সাতটি করোনা ভাইরাস রয়েছে।
মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রম বা মার্স ও সিভিয়ার একুউট রেসপাইরেটরি সিন্ড্রম বা সার্সও করোনা ভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
কখন ধরা পড়ে?

প্রথমে ২০০২ সালে বিড়াল থেকে মানবশরীরে সার্স সংক্রমণের কথা জানা যায় চীনে। পরে ২০১২ সালে সৌদি আরবে উটের শরীর থেকে মানবদেহে মার্স সংক্রমণের বিষয়টিও ধরা পড়ে৷ বর্তমানে চীনে এটি নতুন রূপে দেখা দিয়েছে
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ কী?
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত যে লক্ষণগুলো ধরা পড়ে তা হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, কিডনিতে সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষ থেকে মানুষে কি সংক্রমিত হয়?
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এ ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাঁচি-কাশি থেকে বাতাসের মাধ্যমেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।
করোনা ভাইরাস কতটা মারাত্মক?

করোনা ভাইরাস প্রাণঘাতী ও মারাত্মক। এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ গেছে ৫৬ জনের। সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতা এ ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দ্রুত।
চিকিৎসা কী?
রোগটি একেবারেই নতুন হওয়ায় এখনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। শারীরিক সমস্যায় সাধারণ চিকিৎসাই প্রদান করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে জরুরি হলো রোগীর নিরাপদ পরিবেশ
নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে:

এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কম আসা, হাত পরিস্কার রাখা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও নিরাপদ খাবারের উপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যেভাবে নিরাপদ থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা:
রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন৷ তাদেরকে যথাযথভাবে সংক্রমণনিরোধী বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
সরকারের করণীয় :
এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া মাত্র তাদেরকে জানানোসহ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি৷