মানবদেহের জটিল রোগের মহৌষধ বলা হয়ে থাকে তেলাকুচা গাছকে। যেটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন আছে।
যা আমাদের মারাত্মক অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। জানা গেছে, এ গাছের কান্ড থেকে শুরু করে ফল ও পাতা সবকিছুই মানুষের জন্য খুবই উপকারী।
এর পাতা ও কাণ্ড গাঢ় সবুজ রঙের হয়। ফল পেকে গেলে টকটকে লাল হয়ে যায়। সাধারণত বন-জঙ্গলে কিংবা রাস্তার পাশে এই গাছটিকে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।
জেনে নেয়া যাক মানবদেহের ৫টি জটিল রোগ ও তেলাকুচা গাছের ওষুধি গুণাগুণ সম্পর্কে :
ডায়াবেটিসে কার্যকরী:
এই রোগটির জন্য তেলাকুচা গাছটি খুবই কার্যকরী। এর কান্ডসহ পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে খেলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এই রস আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে। এছাড়া এর পাতা রান্না করে খেলে এ রোগের উপকার হয়।
আমাশয় গায়েব:
প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩ থেকে ৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খান। দেখবেন আমাশয় গায়েব।
সারবে জন্ডিস:
জন্ডিস সারাতে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কাশির উপশম:
কাশির উপশমেও তেলাকুচা খুব উপকারী। যদি শ্লেস্মাকাশি হয় তবে শ্লেস্মা তরল করতে এটি বেশ কাজ করে। কাশির উপশমে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে ৩ থেকে ৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে খেলে উপকার মিলবে।
দূর হবে ফোঁড়া ও ব্রণ :
ফোঁড়া ও ব্রণ সারাতে তেলাকুচা পাতা জাদুর মতো কাজ করে। তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে ব্যবহার করলেই এর থেকে মুক্তি মিলবে।