শীতের মৌসুম শুরু হলে জাপানের ওতারু প্রদেশের হুক্কাইডো শহরের ওতারু অ্যাকোরিয়ামে এক ভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় তা হলো পেঙ্গুইনদের হাটাহাটি।
তবে অন্যন্য বছর বছর অ্যাকোরিয়াম কর্তৃপক্ষ এসব পেঙ্গুইনদের বরফের মাঝখান দিয়ে হাটালেও এ বছর তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে।
অ্যাকোরিয়ামে পেঙ্গুইন:
অ্যাকোরিয়ামের পেঙ্গুইনদের গত ১২ ডিসেম্বর থেকে দিনে তিনবার হাঁটার অনুশীলন করানো হচ্ছে। শীতে রুটিনমাফিক তাদের অনুশীলন করানো চিরাচরিত বিষয় তবে এই বছর পেঙ্গুইনদের হাটার অনুশীলনে বিষয়টি অস্বাভাবিক আর হল তাদের বরফের পরিবর্তে সবুজ লনে হাটানোর অনুশীলন।
ওতারু অ্যাকোরিয়াম শীতকালীন ক্রিয়াকলাপের অংশ হিসেবে ১৩ টি পেঙ্গুইনকে তাদের ” স্নো ওয়াক” করানো হয়। প্রথম দিনে ৭৭ মিটার কোর্সের তিনটি লাইনে হাটনো হয় পেঙ্গুইনদের । দর্শকরা তাদের স্মার্টফোন দিয়ে এসব পেঙ্গুইনদের সাথে ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। যা জাপানের সামাজিক ও যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ছোট বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়সী সবাই পেঙ্গুইনদের হাটার অনুশীলন শোটি উপভোগ করেন। বাবা-মায়ের সাথে ঘুরতে আসে অনেক শিশু।
পেঙ্গুইনদের দেখে ছোট ছোট কচি কাচারা পেঙ্গুইনদের হাটার দৃশ্যটিকে ‘‘খুব সুন্দর ও চিত্তাকর্ষক’’ ছিল বলে জানায়। দর্শনার্থীদের উপস্থিত ও পাখিদের দেখে ভালো লাগছিল বলেও জানায় অনেকে।
জাপানের এ অ্যাকোয়ারিয়ামটি সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে। মাঝে মাঝে এখানে অনেক বড় বড় শো এর আয়োজন করা হয়।
সী লায়ন ও ডলফিন শো:
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আমেরিকার সী লায়ন ও ডলফিন শোর আয়োজন করা হবে অ্যাকোরিয়ামে। পাশাপাশি সিল মাছের খাওয়ার দৃশ্য প্রদর্শণ করবে অ্যাকোরিয়াম কর্তৃপক্ষ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে অনুষ্ঠানগুলো দেখার জন্য দর্শনার্থীদের একে অপরের কাছ থেকে দূরে অবস্থান করতে বলা হয়।
বসবাস:
সাধারণত পেঙ্গুইনের বসবাস দক্ষিণ মেরু বলয়ের আশেপাশের এলাকায়। তারা সবাই দিবাচর আর সমুদ্রবাসী। দুর্দান্ত সাঁতারু ও তাড়া করে মাছ ধরে শিকার করতে সক্ষম।
ধীরে ধীরে হাঁটে। তবে উবুড় হয়ে শুয়ে দুই হাতডানা নেড়েচেড়ে বরফের উপর দিয়ে এগিয়ে চলাফেরা করে থাকে। পেঙ্গুইনদের বুক পেট ধবধবে সাদা, বাকি শরীর কালো বা নীল রংয়ের হয়।
সূত্র: কায়দো নিউজ ও উইকিপিডিয়া
লেখক: সাদিয়া জাহান হুমায়রা